শাহেদ মিজান, সিবিএন:
সদ্য ঘোষিত উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটিকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপ মুখোমুখি হওয়ায় মহেশখালী পৌর এলাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ জারি করেছে প্রশাসন। মঙ্গলবার (১০ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৪টায় ১৪৪ ধারা জারি করেন ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান মারুফ। পরে মাইকিং করে পুরো এলাকায় তা ঘোষণা করা হয়। একই সাথে উপজেলা পরিষদ চত্বর, গোরকঘাটা বাজার ও আদালত এলাকা আরো কয়েকটি স্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

জানা যায়, ঘোষিত উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটিকে বিতর্কিত দাবি করে ছাত্রলীগের এক গ্রুপ দুপুর ২টায় উপজেলা চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধনের ডাক দিয়েছিলেন। এর অংশ হিসেবে সকাল ১১টা থেকে ওই গ্রুপের নেতাকর্মীরা সকাল ১১টা থেকে উপজেলা চত্বরে জমায়েত হতে থাকে।

অন্যদিকে ঘোষিত কমিটির সভাপতি হালিমুর রশিদ ও সাধারণ সম্পাদক পারভেজ আহামদ বাবু আজকে শোডাউন সহকারে কক্সবাজার থেকে মহেশখালী যাওয়া কথা ছিলো। এই নিয়ে দু’গ্রুপের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে।


এ ব্যাপারে মহেশখালী উপজেলার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান মারুফ জানান, দু’পক্ষের মুখোমুখি কেন্দ্র করে পরিস্থিতি ঘোলাটের দিকে যাচ্ছিল। এই প্রেক্ষিতে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ১৪৪ ধারা করা হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গেলে ১৪৪ ধারা তা তুলে নেয়া হবে।

মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ জানান, ছাত্রলীগের মুখোমুখী অবস্থানকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই পুলিশ সতর্ক অবস্থায় ছিলো। ১৪৪ জারি করার পর পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

এদিকে ১৪৪ ধারা জারির পর থেকে ছাত্রলীগের অবস্থান নেয়া নেতাকর্মীরা সরে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।